সারাদিন বিভিন্ন এক্সারসাইজ এর ভিডিও দেখে নিজে কোন কষ্ট না করলে, আপনার আপনার ভুড়ি হয়তো কমবে না। কিন্তু সার্ভার সেটাপ, রাউটিং কিংবা ডাটাবেজ এর সাথে কানেকশন রিলেটেড প্রচুর পেইন না নিয়েও আপনি যদি একটা ফুলস্ট্যাক ওয়েবসাইট বানিয়ে ফেলতে পারেন, তাহলে ব্যাপার টা দারুণ হবে না? Firebase আপনাকে এক্স্যাকলি এটাই করতে দেয়। একইসাথে আপনার ডেভেলপিং স্কিল কে এক্সপ্যান্ড করার ও সুযোগ দিচ্ছে Firebase Cloud Functions এর মাধ্যমে। এবং এটা যেহেতু মেইনলি জাভাস্ক্রিপ্ট-এর উপর ফোকাস করে বানানো, তো যাদের ব্যাকগ্রাউন্ড জাভাস্ক্রিপ্ট, এটা তাদের জন্য সোনায় না, আসলে হিরায় সোহাগা। নামের ভেতর যেমন ‘Fire’ আছে, জিনিসটাও আসলে পুরাই আগুন।
ছোট করে একটু আলোচনা করা যাক,
<u>ডেটাবেজঃ </u> Firebase মূলত আপনাকে দুই রকমের ডেটাবেজ অফার করে। একটা Firestore আরেকটা হলো Realtime Database । Firestore বা Realtime Database যেটাই বলি না কেন, দুটোই আসলে NoSQL ডেটাবেজ। Realtime Database আসলে MongoDB’র ছোটোভাই ও বলতে পারেন। একদম দাঁড়ার উপরে ( Realtime ) ডেটা দেওয়ার জন্য এটা বেশ পপুলার ছিল।
কিন্তু Firestore এসে এর মার্কেট আসলে খেয়ে দিয়েছে। Firestore এর ডেটাবেজ মডেলটা হলো “Collection-Document Model” যেটা আসলে চমৎকার একটা জিনিস। একটু এক্সপ্লোর করেই দেখুন, কথা দিচ্ছি মজা পাবেন।
<u>অথেন্টিকেশানঃ </u>ইউজার অথেন্টিকেশান সেটাপ করা খুবই চমৎকার একটা জঘন্য জিনিস। এটাকে ৫ মিনিটের একটা ক্লিক ক্লিক বুম-এ সেটাপ করে ফেলার মতো অবস্থায় এনে দিয়েছে Firebase একেবারে যেন পিরিচে করে রসোগোল্লা। শুধু হাতে নিন আর খান।
<u>ক্লাউড ফাংশানসঃ </u> ধরুণ আপনি গৎবাধা ইউজার ডুয়েবল জিনিসকে এক্সপ্যান্ড করতে চাচ্ছেন। কিংবা চাচ্ছেন কোন কাস্টম রাউট। এটা আপনাকে সেটা করার-ও সুযোগ করে দিয়েছে। এটা NodeJS-ExpressJS প্যাটার্নে রাউট লিখাকেই সাপোর্ট করে, তো যারা ব্যাকেন্ডে Node নিয়ে কাজ করেন, তাদের বুদ্ধি খাটানোর দারুন একটা পথ খোলা রেখেছে Firebase।
এছাড়াও মেশিন লার্নিং রিলেটেড জিনিসেও খুবই রিসোর্সফুল হয়ে উঠছে Firebase. সাথে থাকছে Website হোস্ট করার সুযোগ এবং অসাধারণ একটা ডকুমেন্টেশান।
Firebase আসলে না শেখার কারণ আমি খুজে পাই না।
Trust me, you’ll fall in love with Firebase.